আমি কে? আমি কেন? নিজেকে চিনতে না পারলে জীবন ব্যর্থ হতে বাধ্য
দৃষ্টিভঙ্গির বদল তখনই শুরু হয়, যখন তুমি নিজের ভেতরে তাকাও। যতোই বাইরের পরিস্থিতি বদলাও না কেন, যদি নিজের মনের ভেতরের রঙটাই ধূসর হয়ে থাকে, তাহলে জীবন কখনোই রঙিন হবে না।
জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
প্রশ্নগুলো আমরা প্রায়ই এড়িয়ে যাই।
"আমি কে?"
"আমি কেন এই পৃথিবীতে এসেছি?"
"আমার আসল পরিচয়টা কী?"
এই প্রশ্নগুলো যত সহজ মনে হয়,
উত্তরগুলো ততটাই জটিল,
আবার ঠিকভাবে চিন্তা করলে ততটাই পরিস্কার।
আমরা বড় হই সমাজের তৈরি করা পরিচয়ের খাঁচায়—নাম, ধর্ম, জাত, পেশা, পরিবার, গ্রেড, সোশ্যাল স্ট্যাটাস। কিন্তু এই সবকিছুর বাইরেও একটা ‘আমি’ আছে। একটা গভীর সত্তা, যে শুধু অন্যকে খুশি করার জন্য বাঁচে না, বরং নিজের সত্যিকারের পরিচয় খুঁজে নিতে চায়।
যখন কেউ প্রশ্ন করে,
"তুমি কে?"
আমরা বলি,
"আমি একজন ছাত্র/শিক্ষক/ব্যবসায়ী…"
কিন্তু এগুলো সবই বাহ্যিক পরিচয়। এই বইয়ের যাত্রা শুরু এখান থেকেই—তোমার
আসল 'আমি' কে, সেটা খুঁজে
বের করা।
নিজেকে চিনতে না পারলে জীবন ব্যর্থ হতে বাধ্য
দৃষ্টিভঙ্গির বদল তখনই শুরু হয়, যখন তুমি নিজের ভেতরে তাকাও। যতোই বাইরের পরিস্থিতি বদলাও না কেন, যদি নিজের মনের ভেতরের রঙটাই ধূসর হয়ে থাকে, তাহলে জীবন কখনোই রঙিন হবে না।
তোমার ভিতরে যে সম্ভাবনা আছে, সেটা উপলব্ধি করতে হলে আগে নিজেকে স্বীকার করতে শেখো—তোমার দুর্বলতা, ভয়, ভুল, এমনকি ব্যর্থতাও।
তিনটি প্রশ্ন, যা তোমার জীবন বদলে দিতে পারে:
- আমি কী নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্যাশনেট?
— তুমি কোন কাজ করলে সময় ভুলে যাও? - আমি কীসে সবচেয়ে ভালো?
— এমন কিছু যেটা তুমি সহজে পারো, কিন্তু অন্যরা সেটা কঠিন মনে করে। - আমি কী ধরনের জীবন চাই?
— বাস্তবতার কথা ভেবে নয়, সত্যিকার চাওয়ার কথা ভেবে ভাবো।
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি তুমি সত্যি করে খুঁজে পাও, তাহলে তোমার ভেতর একটা ভয়ংকর সুন্দর পরিবর্তন শুরু হবে।
নিজেকে চিনে নাও, কারণ…
- তুমি যা ভেবে নিজেকে সীমিত করো, তুমি তার চেয়েও অনেক বেশি।
- নিজেকে বুঝতে পারলে, অন্যকে বুঝতে সহজ হয়।
- নিজের লক্ষ্য না জানলে, তুমি অন্যের লক্ষ্য পূরণের হাতিয়ার হয়ে যাবে।