গন্তব্য সুন্দর, কিন্তু পথটা যদি বিষময় হয়, তাহলে সেই জয়েও শান্তি থাকে না।
পথটাকেও উপভোগ করো, না হলে গন্তব্যে পৌঁছে কিছুই মনে থাকবে না
– মোটা স্যালারি?
– সবার বাহবা?
– না কি নিজের একটা "ড্রিম" পূরণ?
এগুলো ঠিকই আছে।
কিন্তু একটা প্রশ্ন করো—
👉
তুমি যদি সাফল্যের পথে হাঁটতে হাঁটতে সবসময় টেনশনে, দুশ্চিন্তায়, ব্যস্ততায়
ডুবে থাকো…
তাহলে গন্তব্যে পৌঁছেও
তুমি খুশি থাকবে তো?
গন্তব্যে
পৌঁছানো মানেই সব না
আমরা ভাবি—“যেদিন ওখানে পৌঁছাবো, সেদিনই আমি
হ্যাপি হবো।”
কিন্তু বাস্তবে কী হয়?
সেদিন আসে, লক্ষ্য পূরণ
হয়,
আর তুমি তখন ভাবো—"এই
তো? এর
জন্য এতটা ছুটলাম?"
কারণ?
তুমি জার্নিটা মিস করে ফেলেছো।
জীবনের সেরা
মুহূর্তগুলো আসে পথে
ভাবো, একটা মুভি
তুমি শুধু শেষ সিনটাই দেখলে কেমন হবে?
নো এক্সাইটমেন্ট, নো
কানেকশন।
ঠিক তেমনই,
জীবনের গল্পটা গড়ে ওঠে প্রতিদিনের ছোট ছোট স্টেপে, না যে তুমি
কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।
- প্র্যাকটিসের দিনগুলো
- নিজেকে হারিয়ে ফেরত পাওয়ার সময়টা
- ক্লান্ত শরীরে একটু হেসে নেওয়া সন্ধ্যে
এই সবই তো তোমার "লাইফ"।
"হ্যাপি
হবার জন্য সফল হও" না—"সফল হবার জন্য হ্যাপি হও"
সাইকোলজি বলছে—
যে লোকটা নিজের জার্নি উপভোগ করে, সে-ই আসলে বেশি সফল হয়।
– তার আইডিয়া আসে
– সে স্ট্রেস কম নেয়
– সে কাজটা ভালোবাসে
তুমি যদি শুধু
রেজাল্ট নিয়ে ভাবো,
প্রক্রিয়াটা বিরক্তিকর হয়ে যাবে।
আর যখন প্রক্রিয়াটাই ভালো লাগবে,
তখন রেজাল্ট আপনাতেই আসবে।
পথটা উপভোগ
করার জন্য ৪টা জিনিস করো
- ছোট অর্জনগুলোকে সেলিব্রেট করো
– প্রতিদিন ১০ মিনিট পড়ে শেষ করলে নিজের পিঠ চাপড়ে দাও। - নিজেকে সময় দাও
– শুধু কাজ না, মনের জন্যও একটু 'চিল টাইম' রাখো। - নিজের শেখা লিখে রাখো
– প্রতিদিন কী শিখলে বা বুঝলে, সেটা লিখো—তাহলে বুঝবে কতদূর এগিয়েছো। - তুলনা বন্ধ করো, সংযোগ তৈরি করো
– অন্যের সাথে নিজেকে কম্পেয়ার না করে, নিজের জার্নির সাথে কানেক্টেড থেকো।
তাই, তোমার প্রতিদিনটাই হও জীবন উদযাপন করার মতো।"