সমস্যা হলো এমন একটা অবস্থা, যেখানে জিনিসগুলো আমাদের ইচ্ছেমতো চলছে না। তুমি যদি শুধু ‘সমস্যা আছে’ বলে ঘুরে বেড়াও, তাহলে কিছুই বদলাবে না।
প্রতিটা
সমস্যা একটা প্রশ্ন—তোমার উত্তর কি রেডি?
লাইফে সমস্যার কোনো অভাব নেই—
ক্লাসে চাপ, কাজের
স্ট্রেস, সম্পর্কের
জট, আর
নিজের মধ্যেকার যুদ্ধ তো আছেই।
কিন্তু একজন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ে,
আরেকজন সেই সমস্যাকেই বানায় শেখার সুযোগ।
তফাৎটা কোথায়?
👉
সমস্যা দেখার পর
কে প্রশ্ন করে,
কে সমাধান খোঁজে—সেটাতেই সব খেল।
সমস্যা কী?
সমস্যা হলো এমন একটা অবস্থা, যেখানে
জিনিসগুলো আমাদের ইচ্ছেমতো চলছে না।
কিন্তু, এটা
একটা ফিক্সড
ব্লক না—এটা হলো একটা সিগন্যাল:
“এই
জায়গায় তোমার একটু ফোকাস দরকার।”
তুমি যদি শুধু ‘সমস্যা আছে’ বলে
ঘুরে বেড়াও, তাহলে
কিছুই বদলাবে না।
তুমি যখন বলবে “এটার একটা উপায় আমি বের করবো”—
তখনই তুমি নিজের লাইফে ইনোভেটর হয়ে উঠবে।
সমস্যার উপর
মন, না
সমাধানের দিকে চোখ?
১. সমস্যা ফোকাস করলে:
- তুমি স্ট্রেসড থাকবে
- নেগেটিভ চিন্তায় আটকে যাবে
- ‘কেন এটা হল’ সেই দুঃখে ডুবে যাবে
২. সমাধান খুঁজলে:
- মাথা ঠান্ডা থাকবে
- নতুন আইডিয়া আসবে
- ‘এখন আমি কী করতে পারি?’
ভেবে সামনে এগোবে
সমস্যা হলে
নিজেকে এই ৩টি প্রশ্ন করো:
- এই সমস্যা আমাকে কী শেখাতে পারছে?
→ প্রতিটা বাধা একেকটা লার্নিং লেভেল। - আমি কি একা এটা সামলাতে পারবো না, কাউকে সাহায্য চাইতে পারি?
→ হেল্প চাওয়া দুর্বলতা নয়, এটা স্মার্টনেস। - এই মুহূর্তে আমি ছোট্ট একটা কী পদক্ষেপ নিতে পারি?
→ ছোট অ্যাকশনই বড় পরিবর্তনের শুরু।
রিয়েল
এক্সাম্পল: ছাত্র,
পড়া আর স্ট্রেস
একজন ছাত্র বলছিল—
“পড়ার চাপ সামলানো যাচ্ছে না। মন বসে না। বারবার মাথা গরম হয়ে যায়।”
সমস্যা তো সত্যি। কিন্তু সে এরপর
কী করল?
- একটা স্টাডি প্ল্যান বানাল
- ফোন অফ করে ৩০ মিনিট ফোকাস টাইম নিল
- দরকারে কাউন্সেলরের কাছে গেল
তফাৎটা তৈরি হলো সমস্যার
বাইরে দাঁড়িয়ে সমাধানের দিকে হাঁটতে শেখায়।
সমাধানমুখী
মানসিকতার ৩টা অভ্যাস গড়ে তোলো
- নেগেটিভ চিন্তা এলে সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন করো—"আমি
এখন কী করতে পারি?"
- চিন্তা না, অ্যাকশনে ফোকাস করো—even যদি সেটা খুব ছোট হয়।
- মনে রেখো—সমস্যা একটা অস্থায়ী রুকাবট, তোমার লক্ষ্য চিরস্থায়ী।
"সমস্যা আসবেই, সেটা রোধ করতে
পারবে না।
কিন্তু তুমি ঠিক করো—তুমি সমস্যার গল্প বলবে, না সমাধানের
ইতিহাস লিখবে।"