ভয়কে বন্ধু বানাও – শত্রু নয়।
ভয়কে সঙ্গে নিয়েই শুরু হয় সাহসের যাত্রা
অনেকেই ভাবে সাহস মানেই ভয়হীন
হওয়া।
কিন্তু বাস্তব হল—যে সাহসী, সে-ই
ভয়কে সবচেয়ে ভালো চেনে।
তফাৎটা শুধু একটাই—
ভীরু ভয় পেয়ে থেমে যায়,
আর সাহসী ভয় পেয়েও হাঁটতে থাকে।
ভয় কেন আসে?
ভয় আসে কারণ:
- আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবি।
- আমরা ব্যর্থতার ফলাফল নিয়ে দুশ্চিন্তা করি।
- আমরা চাই, সবাই আমাদের পছন্দ করুক।
ভয় মানেই তুমি
মানুষ।
কিন্তু সেই ভয়কে গলার কাঁটা না বানিয়ে যদি সিঁড়ি বানাও, তাহলেই তুমি হয়ে উঠবে অসাধারণ।
একটা বাস্তব
গল্প: অপারেশন, সিদ্ধান্ত, সাহস
একজন যুবককে জরুরি অস্ত্রোপচারের
কথা বলা হল।
ভয় তাকে গিলে ফেলছিল—ব্যথা, ঝুঁকি,
খরচ।
কিন্তু সে বুঝল, ভয়ের থেকে বড় বিষয়
হল জীবনের সম্ভাবনা।
সে ভয়ের হাত ধরেই অপারেশন করল।
আজ সে সুস্থ, আরও সাহসী।
এই গল্প হয়তো তোমার নিজেরও হতে
পারে।
তফাৎ শুধু সাহস নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে।
ভয়কে বন্ধু
বানাও – শত্রু নয়
ভয় একটা সংকেত।
এটা বলে—"তুমি একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের সামনে দাঁড়িয়ে
আছো।"
ভয় দেখিয়ে দেয়, এটা তোমার কমফোর্ট
জোনের বাইরে।
আর জীবন বদলায় ঠিক সেখানেই।
ভয়ের মুখে
এগিয়ে যাওয়ার ৩টি কৌশল
- ভয়ের নাম দাও:
- ঠিক কী নিয়ে ভয় পাচ্ছো? ব্যর্থতা, অপমান, না অজানা ভবিষ্যৎ?
→ নাম না দিলে তুমি কখনো যুদ্ধই শুরু করতে পারবে না। - ভয়ের পেছনের গল্প খোঁজো:
- তুমি হয়তো শিখেছ "ভুল করলেই মানুষ
হাসবে", তাই ভয় পাচ্ছো।
→ এখন নিজেকে জিজ্ঞেস করো: “এই গল্পটা এখনো প্রাসঙ্গিক?” - ছোট স্টেপে সাহস চর্চা করো:
- ভয় পাচ্ছো স্টেজে কথা বলতে? আজ শুধু আয়নায় প্র্যাকটিস করো।
- ভয় পাচ্ছো কাউকে কিছু বলতে? লিখে দাও।
→ সাহস একদিনে আসে না, এটা অভ্যাস।
ভয়ের উল্টোটা
কি সাহস? না।
ভয়ের উল্টোটা হলো আস্থা।
তুমি ভয় পাবে, কিন্তু নিজেকে বিশ্বাস
করবে।
"ভয় পেয়েছি" মানে "আমি থামবো" না,
বরং "আমি সতর্কভাবে এগোবো।"
একটা মন্ত্র
মনে রাখো
"ভয় থাকা মানে তুমি দুর্বল না—
ভয় থাকা সত্ত্বেও এগিয়ে গেলে তবেই তুমি সাহসী।"
তুমি
যদি ভয় না পাও, তাহলে তুমি নতুন কিছু করছো না।
ভয় আসবে, হাত কাঁপবে, মাথা ঘুরবে—
তবু তুমি এক পা এগোলে, সেখানেই শুরু হবে
সাহসের আসল গল্প।
“ভয়ের হাত ধরে হাঁটলেই সাহসের গন্তব্যে পৌঁছানো যায়।”