তুমি ইউনিক, কারও কপি হয়ে সময় নষ্ট করো না
"অন্যের মতো" হওয়া মানে নিজের আসল রূপকে খুন করা
আজকের দুনিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায়
ভর্তি।
তুমি দেখো—
– কেউ পারফেক্ট বডি শো করছে,
– কেউ স্টাইলিশ লাইফস্টাইল
– কেউ দারুণ রেজাল্ট বা স্কিল
আর তখন তুমি ভাবো,
"আমিও ওর মতো হতে চাই।"
এটাই ফাঁদ।
"অন্যের
মতো" হওয়া মানে নিজের আসল রূপকে খুন করা
যখন তুমি কারও মতো হওয়ার চেষ্টা
করো:
- তুমি নিজের শক্তি ভুলে যাও
- নিজের দুর্বলতা ঢাকতে ঢাকতে হাঁপিয়ে যাও
- একটা মিথ্যা লাইফস্টাইলের মুখোশ পরে থাকো
👉 শেষমেশ যা হয়—তুমি নিজের কাছেই অচেনা হয়ে যাও।
তুমি কিন্তু
এমন একটা গল্প যেটা আগে কেউ লেখেনি
তোমার চিন্তা, অভিজ্ঞতা, ভয়, স্বপ্ন—সব
কিছু মিলিয়ে তুমি
ইউনিক।
তুমি যদি নিজের মতো থাকো:
- তুমি সত্যিকারের আত্মবিশ্বাস তৈরি করো
- তোমার ক্রিয়েটিভিটি খুলে যায়
- তুমি এমন কিছু বানাতে পারো, যা কেউ
কখনো পারেনি
নিজেকে খুঁজে
পাওয়ার ৩টি সহজ স্টেপ
- নিজের শক্তি-দুর্বলতা জানো:
– তুমি কী ভালো পারো? কীতে মজা পাও? কোথায় আটকে যাও? - তুলনা বাদ দাও, নিজের গতিতে চলো:
– কারও ১০০ মিটার দৌড় তোমার হাঁটার সাথে মেলানো চলে না। - 'আমি কি সত্যি এটা চাই?'
এই প্রশ্নে সত্যি উত্তর দাও:
– অন্যের ইচ্ছেকে নিজের ভাবলে, তুমি খুশি হতে পারবে না।
একটা ছোট
গল্প: নিজেকে খুঁজে পাওয়া
একজন ছেলে ক্লাসে সবসময় দ্বিতীয়
হতো।
সে ভাবত—“আমার সব ভুল,
আমি ভালো কিছু পারি না।”
তারপর একদিন টিচার বললেন,
“তুই গান গাইলি শুনেছিলি?
তোর গলায় যাদু আছে।”
ছেলেটা এরপর গানেই নিজের পরিচয়
খুঁজে পেল।
👉 তফাৎটা কোথায়?
সে অন্যদের মতো হতে চাওয়া বন্ধ করে, নিজের মতো হওয়া শুরু করল।
একটা মন্ত্র
মনে রাখো (এই অধ্যায়ের জন্য)
"তুমি
জন্মেছো আসল হওয়ার জন্য,
কপি হওয়ার নয়।
তাই নিজেকে বাঁচাও, সাজাও—not অন্যকে নকল
করে,
বরং নিজেকে ভালোবেসে।"
নিজেকে গ্রহণ করা মানে,
– নিজের অসম্পূর্ণতাকেও ভালোবাসা
– নিজের স্বপ্নকে সম্মান দেওয়া
– নিজের পথে ধৈর্য নিয়ে হাঁটা
👉 তুমিই তোমার সবচেয়ে বড় শক্তি—যদি তুমি নিজের মতো হতে
সাহস পাও।