যে সমাজে মানুষ কথা বলার ভয় পায়, সেখানে গণতন্ত্র মুখোশ পরা একনায়কতন্ত্রে পরিণত হয়। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেন একটি সমাজের মেরুদণ্ড।
একটা সমাজ তখনই পিছিয়ে পড়ে, যখন মানুষ সত্য বলার সাহস হারিয়ে ফেলে। ভয়, শাস্তি, হেনস্তা বা তকমা
পাওয়ার আশঙ্কায় যদি মানুষ চুপ করে যায় — তাহলে সেই সমাজ ধীরে ধীরে গণতন্ত্রের
মুখোশ পরা একনায়কতন্ত্রে পরিণত হয়।
🎙 কীভাবে এটা প্রকাশ পায়?
* সাংবাদিকরা
সেন্সরড হয়ে যায় বা হামলার শিকার হয়।
* সাধারণ
মানুষ ফেসবুকে পোস্ট দিলেও হয়রানির মুখে পড়ে।
* সরকারের
সমালোচনা মানেই “দেশদ্রোহী” ট্যাগ।
* শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও
বিতর্ক বা খোলামেলা আলোচনা নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
😷 এর ফলাফল?
*মানুষ
চুপ থাকতে শেখে, প্রশ্ন
করতে ভয় পায়।
*ভুল
নীতির বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ হয় না,
ফলে অন্যায় নীরবে ছড়িয়ে পড়ে।
*একটা
“হ্যাঁ-স্যার” সংস্কৃতি তৈরি হয়,
যেখানে সত্য আর সাহসের কোনো জায়গা থাকে না।
*প্রজন্ম পর প্রজন্ম শেখে, “ভালো থাকার জন্য চুপ থাকো।”
আসলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মানে শুধু কথা বলার অধিকার না —
এটা হলো চিন্তা করার, প্রশ্ন
তোলার, বিকাশ
ঘটানোর অধিকার।
যেখানে এটা নেই,
সেখানকার মস্তিষ্কগুলো ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।
সৃষ্টিশীলতা মরে যায়।
সমাজ হয় কৃত্রিম,
একঘেয়ে, ভয়নির্ভর।
একটা ব্যর্থ সমাজ চুপচাপ মানুষে ভরা।
আর একটা সফল সমাজ?
সেটা গড়ে ওঠে এমন মানুষ দিয়ে, যারা যুক্তির সঙ্গে কথা বলে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, আর নিজেদের মতামত নির্ভয়ে প্রকাশ করতে জানে।
তুমি কি সেই সমাজের অংশ হতে চাও? নাকি শুধু চোখ
বুজে চুপ করে থাকতে চাও?