একই পরিস্থিতি, ভিন্ন চোখে দেখা
সমস্যা না সুযোগ—সবটা নির্ভর করে দৃষ্টিভঙ্গির উপর
“তুমি কী দেখছো, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ তুমি কীভাবে দেখছো।”
জীবনের গল্প বদলাতে চাইলে, দেখার দৃষ্টিটা বদলাও।
কারণ একই রোদে কেউ রোদ পোহায়, কেউ তাপ পায়।
একটা ঘটনা ঘটে। দু’জন মানুষ সেই একই ঘটনাটার মধ্যে দিয়ে যায়।
একজন ভাবে, “সব শেষ।”
অন্যজন ভাবে, “এটাই তো শুরু।”
এখন প্রশ্ন হল—ঘটনা তো এক! তাহলে এই দুইজন মানুষের চিন্তাভাবনায় এত পার্থক্য কেন?
উত্তর একটাই:
দৃষ্টিভঙ্গি।
তুমি যা দেখো, সেটাই জীবন নয়। তুমি যেভাবে
দেখো, জীবন আসলে সেটাই।
বাস্তব উদাহরণ: ব্যর্থতা কারো কাছে শিক্ষা, কারো কাছে শেষ
একজন স্টুডেন্ট পরীক্ষায় ফেল করে—
- একজন ভাবে, “আমার কিছুই হবে না।”
- আরেকজন ভাবে, “এটা আমাকে বুঝিয়ে দিল কোথায় উন্নতি করতে হবে।”
যে দ্বিতীয়টা ভাবে, সে জীবনে অনেক দূর যায়।
কারণ তুমি যখন ‘সমস্যা’র মধ্যেও সুযোগ খোঁজো, তখন জীবন হালকা হতে শুরু করে।
‘জীবন কেন এমন?’ vs ‘আমি এতে কী শিখলাম?’
প্রতিদিন আমরা জীবনকে জিজ্ঞেস
করি:
“আমার সঙ্গে এটা কেন ঘটছে?”
এই প্রশ্নটা আমাদের অসহায় করে তোলে।
বরং যদি প্রশ্নটা ঘোরাও:
“এই ঘটনার মধ্যে আমি কী শিখতে পারি?”
তাহলেই নিজেকে ক্ষমতাবান মনে হবে।
দৃষ্টিভঙ্গি বদলের ছোট ৩টি কৌশল
১. Reframe it (ফ্রেম বদলাও):
যেটা তুমি “দুর্ভাগ্য” বলছো, সেটা হয়তো “দুঃসাহস” দেখানোর সুযোগ।
উদাহরণ: “আমার চাকরি চলে গেছে” → “নতুন কিছু শুরু করার সময় এসেছে”
২. Pause and Perspective (একটু থামো):
তোমার চারপাশে যে জিনিসটা খারাপ মনে হচ্ছে, সেটা অন্য কারো কাছে স্বপ্ন হতে পারে।
তুমি যে জল খাচ্ছো, সেটা কোনো দেশের শিশুর কাছে বিলাসিতা।
৩. Gratitude Lens (কৃতজ্ঞতার চশমা পরো):
প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ৩টা
বিষয় লেখো—
আজকের যেসব ব্যাপার তোমার ভালো লেগেছে।
এটা তোমার মনকে ট্রেইন করবে ভালো দিকগুলো দেখতে।
ছোট্ট গল্প: এক জুতো বিক্রেতা
দুই জুতো বিক্রেতা এক গ্রামে গেল।
একজন দেখে বলল:
“এখানে তো কেউ জুতো পরে না! ব্যাবসা হবে না।”
আরেকজন দেখে বলল:
“ওয়াও! এখানে সবাই জুতোহীন। বিশাল সুযোগ!”
ঘটনা একই—লোকেরা জুতো পরে না।
কিন্তু যিনি সুযোগ দেখলেন, তিনি ইতিহাস
গড়লেন।
“তুমি কী দেখছো, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ তুমি
কীভাবে দেখছো।”
জীবনের গল্প বদলাতে চাইলে, দেখার
কোণটা বদলাও।
কারণ একই রোদে কেউ রোদ পোহায়, কেউ তাপ পায়।